বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটরের পিছনে বাইকের ধাক্কা , মৃত ১ : জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা

4th March 2021 4:28 pm বর্ধমান
বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটরের পিছনে বাইকের ধাক্কা , মৃত ১ : জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা


পিন্টু প‍্যাটেল ( বর্ধমান ) :  ফের তেলিপুকুরের কাছে জাতীয় সড়কের ফ্লাই ওভারের উপর ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রান গেল এক বাইক আরোহীর। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে জানতে পারা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১৫মিনিট নাগাদ তেলিপুকুরের কাছে ফ্লাই ওভারের উপর একটি আলু বোঝাই ট্রাক্টার বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় দুর্গাপুরের দিক থেকে এক ব্যক্তি এবং এক মহিলা মোটরসাইকেলে কলকাতার দিকে দ্রুত গতিতে যাচ্ছিলেন। জানা গেছে, দুজনে সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী। তারা পানাগর থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন। ফ্লাই ওভারের নিচ থেকে উপরের দিকে ওঠার সময় আচমকাই তাদের গাড়ির সামনে ট্রাক্টারটি পরে যাওয়ায় সরাসরি ট্রাক্টারের পিছনে ধাক্কা মারে বাইকটি। ঘটনাস্থলেই বাইক আরোহী ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। বাইকের অন্য আরোহী মহিলা, বয়স ৩৫, তাকে দ্রুত উদ্ধার করে অনাময় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান স্থানীয়রা। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান থানার পুলিশ। পুলিশ ট্রাক্টারটি মালিক, চালক সহ গাড়িটিকে আটক করেছে। এখনো মৃত এবং আহত ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে পারা যায়নি।

ট্রাক্টারটি মালিক জানিয়েছেন, ফ্লাই ওভারের উপর উঠতেই গাড়ির পিছনের একটি চাকা ফেটে যাওয়ায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে চাকটিকে মেরামত করার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই সময় একটি মোটরসাইকেল দ্রুত গতিতে পিছন থেকে এসে ট্রাক্টারের পিছনে ধাক্কা মারে। যদিও ট্রাক্টারটি কোনো বৈধ কাগজ পুলিশ কে দেখাতে পারেননি ওই ট্রাক্টার মালিক। এই দুর্ঘটনার পর জাতীয় সড়কে নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।বর্ধমানে জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক্টারের পিছনে ধাক্কা মোটর সাইকেলের, মৃত এক ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।